শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে যে কোনো নামের সঙ্গে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আজ রবিবার (২৫ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকলে নানা সুবিধাভোগী শ্রেণি এবং বসন্তের কোকিলরা এ ধরনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়, যুক্ত হয় নানা আগাছা-পরগাছা।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দলের মধ্যে কারো প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে এ ধরনের কাজে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে যেকোনো নামের সঙ্গে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রয়েছে সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং বিভিন্ন উপকমিটি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে কোনো মনগড়া বা হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সংগঠনকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং করার কোনো সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসের সোনালি ফসল এ সেতু।’ তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। দৃশ্যমান ও অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই নানা গুজব, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে দেশবিরোধী এবং উন্নয়নবিরোধী একটি অপশক্তি। মনুষ্যসৃষ্ট নানা বাধা ও ষড়যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এখন দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু।’
সেতুমন্ত্রী জানান, গতকাল ২৪ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৪ ভাগ, আর সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৭ ভাগ।
গত ২৩ জুলাই একটি ফেরি নদীতে চলাচলের সময় পদ্মা সেতুর একটি পিলারে আঘাত করা প্রসঙ্গেও কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘আঘাতকারী ফেরির ওজন ছিল ১২৮৪ টন। আর পদ্মা সেতুর ডিজাইন অনুযায়ী ৩০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চার হাজার টন ওজনের নৌযানের ধাক্কা সামলানোর ক্যাপাসিটি রয়েছে প্রতিটি পিলারের।’
ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী, কারিগরি কমিটির সদস্য, পরামর্শক ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
‘ইতিমধ্যেই ফেরির মাস্টার চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফেরির ধাক্কায় পিলারের কোনো ক্ষতি না হলেও এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্রের অংশ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গর্বের এ সেতু নিয়ে আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনো যে নেই তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’